বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পদ্ধতিতে নির্ধারিত দামের ওপর বিনিময় হার ওঠা-নামার সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে এ পদ্ধতি। এটি কার্যকর হলে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করা যাবে না। সবার আগে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথাও বলছেন তারা।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে অস্থিরতা চলছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। এ সমেয় ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। অস্থিরতা কমাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির পাশাপাপাশি আমদানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৮৫ টাকার ডলার ব্যাংকে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় আর খোলাবাজারে ১২৪ টাকা।
ডলার বিনিময় হারে অস্থিরতা কমাতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতির প্রকাশনা অনুষ্ঠানেই এটি কার্যকরের কথা জানান গভর্নর। নির্ধারিত বিনিময় হারের ওপর কতটুকু ওঠা নামা করতে পারবে তা ঠিক করে দেয়া হবে এ পদ্ধতিতে।
ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে ডলার বিনিময় হার নির্ধারিত হতে হবে বাজার ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর আগে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা জরুরি বলেও মনে করেন তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে হুন্ডি বন্ধ জরুরী। না হলেও দাম বাড়িয়েও কোন সুফল পাওয়া যাবে না। একই সাথে ব্যাংকের ও খোলাবাজারের মধ্যে দামের পার্থক্য কমিয়ে আনার পরামর্শ তাদের।
সংকট কাটাতে ডলারের যোগান বাড়াতে হবে। এ জন্য রফতানি ও প্রবাসী আয় বাড়াতে জোর দেয়ার পরামর্শ ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদের।