রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে মিসর-ইসরায়েল সম্পর্কে টানাপোড়েন

গাজার রাফাহ শহরে তেল আবিবের হামলার জেরে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে মিসর-ইসরায়েল সম্পর্কে। দুই দেশের শান্তি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার সীমান্তবর্তী মিসরের সিনাই উপদ্বীপে নির্মাণ কাজের এই ভিডিও প্রকাশ করেছে সিনাই ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস। সংগঠনটির দাবি, বাস্ত্যুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অনুপ্রবেশের শঙ্কায় আগাম এই প্রস্তুতি নিচ্ছে মিসর।

গাজাজুড়ে ইসরায়েল ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও, রাফাহ ছিলো কিছুটা শান্ত। প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকা গাজাবাসীর অর্ধেকের বেশিই বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন ছোট্ট এই শহরটিতে। এখানেও ইসরায়েল পুরোদমে আগ্রাসন শুরু করলে মিসর ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনির।

১৯৪৮ সালে, সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি, ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে নিজ ভূখণ্ড ছেড়েছিলেন। যাদের কেউই আর জন্মভূমিতে ফিরতে পারেননি। ইসরায়েলে চলমান আগ্রাসনে আবারও একই শঙ্কায় ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে, সিনাই উপদ্বীপে ফিলিস্তিনিদের জন্য বাসস্থান তৈরির তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও, মিসর সরকারের দাবি, নতুন করে শরনার্থী চায় না তারা। মিসরের নাজুক অর্থনীতিতে বাড়তি শরনার্থীর চাপ নিতে চাচ্ছে না দেশটি। আর তাই, রাফায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরোধিতা করছে তারা।

ফলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। যে শান্তি চুক্তির আওতায় ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো কায়রো, সেটি ভেঙে যাওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। যদিও কায়রো বলছে, যতদিন, ইসরায়েল শর্ত মানবে ততদিন চুক্তি ভাঙবে না তারা।

কয়েক যুগ ধরেই, ইসরায়েলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে মিসর। একসাথে কাজ করছে নিরাপত্তাসহ বেশকিছু ইস্যুতে। এমনকি, অভিযোগ রয়েছে মিসরের সহায়তায়ই ১৭ বছর ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইহুদি দেশটি।

এর আগে, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেমে আগ্রাসন ও গাজায় হামলাসহ নানা ইস্যুতে বিভিন্ন সময় তিক্ততা বাড়লেও তাদের সম্পর্কে চিড় ধরেনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *