টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ  অন্যরকম নির্বাচন দেখলো জাতি। কার্যত নীরবে হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোনো উত্তেজনা নেই, হৈচৈ নেই, উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই, ভোটারদের দৌঁড়ঝাপ নেই, ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রে নেই কোনো ভীড়। এমন চিত্রপটে আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যে দিনভর গ্রহণ করা হলো ভোট। বিএনপির ভোট বর্জনে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা রাজনৈতিক দল ভোটের মাঠে না থাকায় আগ থেকেই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করা নৌকার প্রার্থীরা ব্যপক ভাবে বিজয় লাভ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থীরা ভুমিধ্বস বিজয়ের পথে এগিয়ে চলছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে সবগুলোর আসনের চূড়ান্ত ফলাফল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘোষিত না হলেও ইতোমধ্যেই নতুন সরকার গঠনের চেয়েও বেশি আসনে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অতএব টানা চতুর্থ বার এবং পঞ্চম বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। দলকে নতুন ভাবে সুসংগঠিত করেন। নেতৃত্বের ক্যারিশমা দেখিয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২১ বছর পর তিনি আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিজয়ী হলে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বার, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০১৯ সালে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এর আগে বাংলাদেশে যারা সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কেউই একটানা ৪ বার এবং পাঁচবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাননি। এ ছাড়াও ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিককে নিয়ে রাজধানীর সিটি কলেজ ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান। অতপর তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ সময় অন্য সাধারণ ভোটারের মতো শেখ হাসিনারও আঙ্গুলে অমোচনীয় কালি দিয়ে মার্ক করে দেওয়া হয়। অতপর ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের ‘বিশ্বাসী বন্ধু’। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশের মানুষকে ‘আশ্রয়’ দেওয়ার জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের সমর্থন জুগিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে যখন তিনি তার বাবা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান, মা সহ তার পরিবারের অনেকেই হারিয়েছিলেন, তখন তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে সেই সময়ে তাদেরকে পুরো সাহায্য করেছিল ভারত। তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে ভারতীয় সেনা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে প্রাণ দেন অনেক ভারতীয় জওয়ান। এর পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি দীর্ঘদিন ভারতে কাটিয়েছেন। তিনি সে সময়ের স্মৃতি রোমন্থন করেন।
আন্তর্জাতিক চাপ এবং দেশের নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির মুখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা ছিল কার্যত চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনা সেই চ্যালেঞ্চ দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। বিশেষ করে ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞার চাপ, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এবং শ্রমিক অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘শ্রমনীতি’ ঘোষণার পর ‘বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার’ ভয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণমূলক বিশ্ব মডেলের নির্বাচনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, কানাডাসহ অনেক দেশের প্রভাবশালী এমপি ও নেতাদের বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তাবনা মোকাবিলা শেখ হাসিনা করেছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। বিশ্ব রাজনীতির গ্রæপিং লবিং এবং ভূ রাজনৈতিক শক্তির মহড়ায় তিনি ভারত, রাশিয়া ও চীনের সমর্থন নিয়েছেন নেতৃত্বের যোগ্যতার মাধ্যমেই। নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ পৃথিবীর প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলো চাপ থাকলেও ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিদেশী পর্যবেক্ষকরা সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি। ভোটার এবং প্রার্থীর এজেন্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আমরা সন্তুষ্ট। পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতা কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকান-পাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত। কম ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পর্যবেক্ষকরা বলেন, ১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা।
ইসির সাফল্য : কখনো উত্তেজনা কখনো নিস্তেজ পরিবেশের মধ্যে দিনভর ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রার্থীদের কর্মীর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। বিকেল ৩টার সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সারা দেশে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ ঘণ্টায় ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তিনি জানান, সারা দেশে বিভাগগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিকেল তিনটা পর্যন্ত গড় ভোট পড়েছে ২৬ ভাগ। বিষয়টি উল্লেখ ইসি সচিব বলেন, ‘(তিনটার সময়) আমাদের গড় ভোট কাস্টিংয়ের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এখন যেহেতু একটু বেড়েছে আমরা ২৭ শতাংশ প্লাস বলতে পারি। সারা দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৮টি বিভাগে মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫, চট্টগ্রামে ২৬, সিলেটে ২২, বরিশালে ৩১, খুলনায় ৩২, রাজশাহীতে ২৬, ময়মনসিংহে ২৯ এবং রংপুর বিভাগে ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সারা দেশে অন্তত ৩৫টি জায়গায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আমাদের পুলিশ অফিসারের গাড়িতে ইট মেরে গাড়ির গøাস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। জালভোট বা জালভোট প্রদানে সহায়তা করার কারণে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি বা দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরে একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আছেন এবং যারা জালভোট দিতে গেছেন তারাও আছেন। ভোট গ্রহণ শেষে সারাদেশে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ সময় পাশে বসা নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব তাকে শতকরা ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলতে বলেন। অতপর সিইসি নিজের বক্তব্য সংশোধন করে বলেন সারাদেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেসরকারি টিভিগুলোতে সরাসরি এ সংবাদ সম্মেলন প্রচার করা হয়।
ভোটারের জন্য অপেক্ষা : রাজধানী ঢাকা-১৩ আসনের মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া হাউজিং স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রথম ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৫৫৪। অথচ শেষের ২ ঘণ্টায় ৫২১টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ৯২টি ভোট পড়ে, যা মোট ভোটারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়ার হার ৭ দশমিক ৮। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রটিতে ২৯৩টি ভোট পড়েছিল। সকাল ৮টায় ভোট শুরুর ৬ ঘণ্টা পর বেলা ২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৫৫৪টি ভোট পড়েছিল, যা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। শেষের দুই ঘণ্টার মধ্যেই (বেলা দুইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত) কেন্দ্রটিতে আরো ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সংখ্যার দিক থেকে যা ৫২১টি। সব মিলিয়ে ভোটদান শেষে এই কেন্দ্রের ভোটের হার দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ৬৮।
ঢাকা-১৪ আসনে ভোট গণনার আগেই রেজাণ্ট সিটে এজেন্টদের স্বাক্ষর নেন প্রিসাইডিং অফিসার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাজ আগিয়ে রাখছি।’
ঢাকা-১৫ আসনের একটি কেন্দ্রের কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২০৮। বেলা ১১টা পর্যন্ত পড়েছে ৭৯টি ভোট। ভোট পড়ার হার ৩ দশমিক ৫৭। তখন ভোট গ্রহণের সময় তিন ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। পরে আরো কিছু ভোট পড়ে পরের তিন ঘন্টায়। ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৫ আসনের ১০ ভোটকেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বাইরে জটলা কিন্তু ভিতরে ভোটারের সংখ্যা খুবই কম। রাজধানীর, ধনিয়া কলেজ, বর্ণমালা হাই্কুল এন্ড কলেজ, এ কে স্কুল, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাবিবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ ১০টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই কেন্দ্রের বাইরে জটলা। কেন্দ্রের বাইরে মিছিল ও শোডাউন। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোটারের সংখ্যা খুবই কম দেখা গেল। তবে ভোট কেন্দ্রের আশপাশে তেহারি, বিরিয়ানির মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারের তথ্য মতে দুপুর পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১০টা থেকে ২০০ টা পর্যন্ত। ইনকিলাবের সংবাদদাতাদের তথ্য অনুযায়ী সারাদেশ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নজীরবিহীন ভাবে কম ছিল। মানিকগঞ্জ, বগুড়া, কক্সবাজার, শেরপুর, রাজশাহী, জয়পুর হাট, লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, নিলফামারিসহ উত্তরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল নগন্য।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *