পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে সম্ভাব্য উত্তরণকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে তা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তৈরি পোশাক খাত, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য প্রায় সব খাতে প্রণোদনার হার কমানো হলো। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে নতুন নির্দেশনা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ২০২৬ সালে এলডিসির তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধি-বিধান অনুযায়ী এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে কোনো ধরনের রফতানি প্রণোদনা প্রদান করা যাবে না।
আরও জানানো হয়, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে একত্রে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ না করে সরকার বিভিন্ন ধাপে নগদ সহায়তা বা প্রণোদনার হার অল্প অল্প করে হ্রাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা এক শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ হারে করা হয়েছে। এছাড়া, পাঁচটি এইচএস কোডের আওতায় রফতানি হওয়া পণ্যে কোনো নগদ সহায়তা দেয়া হবে না। এই খাতের নতুন রফতানি বাজারগুলোতে দেয়া প্রণোদনার হার এক শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।
এদিকে, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বস্ত্র খাতের মোট ৫৬ শতাংশ রফতানি হয়। সরকার থেকে হঠাৎ করে নেয়া এমন সিদ্ধান্তের ফলে এ খাতের রফতানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য উদ্যোক্তাদের।