আজ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’। মার্কিনিদের জন্য দিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনের অপেক্ষায় থাকে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। প্রতিবছরের নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার থ্যাংকস গিভিং ডে হিসেবে উদযাপন করেন তারা। এই দিনে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে খাবার পরিবেশন করেন।
প্রধান খাবার হিসেবে পরিবেশনায় স্থান পায় টার্কি মোরগ। বিশেষভাবে রান্না করা এই টার্কি মোরগ সবাই একসঙ্গে খায়। একত্রিত হয়ে খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করেন।
এই দিনটিকে অনেকে টার্কি দিবসও বলে থাকেন। দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়।
১৬২১ সালের এক হেমন্তে আমেরিকার আদি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানত ইংল্যান্ড থেকে আগত যাজকদের এক শুভক্ষণে পরস্পরের মধ্যে উৎপাদিত শস্য এবং পণ্য বিনিময়ের মধ্যদিয়ে ‘থ্যাংকস গিভিং’ উৎসবের সূত্রপাত হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সেদিনের সেই বন্ধুত্ব এবং শান্তির অমিয়বাণী আমেরিকাবাসীর অন্তরে ধারণ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে ‘থ্যাংকস গিভিং হলি ড’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
সেই থেকে প্রতিবছর বন্ধুত্ব ও সংহতি প্রকাশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে স্মরণীয় বরণীয় করে তুলতে নানা আয়োজনে মেতে উঠে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র।
থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরের দিনকেই ‘ব্লাক ফ্রাইডে’ বলা হয়ে থাকে। এ দিনের জন্যও মানুষের অপেক্ষার কমতি নেই। একবছর ধরেই অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকেন আমেরিকার দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষজন কম দামে ভালো একটা কিছু কেনার জন্য দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই টিভি ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেয়া তাদের পণ্যের মূল্যহ্রাসের তালিকা। শতকরা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ মুল্যহ্রাস করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির।
তবে এই দিনে অনেকের চাহিদা ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্য। এর মধ্যে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, আইফোন, আইপ্যাড ইত্যাদি দ্রব্যের প্রতি মানুষের বেশি চাহিদা বেশি।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে দোকানের সামনে লাইন ধরে ভোর ৬টায় পর্যন্ত অপেক্ষা করেন দোকানে প্রবেশের জন্য। কিন্তু প্রতিবছরই ঘটে ব্যতিক্রম ঘটনা। ওইদিন রাত ১২টার পরিবর্তে রাত ৮-৯টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে যান হাজার হাজার মানুষ।