স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে আক্রান্ত, এমন অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাষ্ট্রের অতি গোপনীয় নথি ঠিকমতো সামাল দিতে না পারার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। খবর রয়টার্সের।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ একেবারে নিছক কথা, তা-ও নয়। এর আগে, গাজা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মিসর ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন জো বাইডেন। কেবল একবারই নয়, অনেকবার ভুলভাল বলে শিরোনাম হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিকে যেদিন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিয়েছিলেন, সেদিনই তার বিরুদ্ধে স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তদন্ত প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট হুর ৩৮৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে দাবি করেন, বাইডেনের স্মৃতিশক্তিতে উল্লেখজনক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এমনকি ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রের অতি গোপনীয় নথি ঠিকভাবে সামাল দিতে না পারার অভিযোগও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

রবার্ট হুর আরও দাবি করেন, নিজের ছেলে বিউ বাইডেনের মৃত্যুর সালসহ জীবনের অনেক স্মরণীয় ঘটনা-ই স্মরণে নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

যদিও স্মৃতিভ্রমের অভিযোগে বেশ ক্ষুব্ধ বাইডেন। অভিযোগের প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, আমি একজন সদয় ও বয়স্ক মানুষ। আমি ভালো করেই জানি আমি কি করছি। আমি প্রেসিডেন্ট এবং আমি আমার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমার স্মৃতিশক্তি এখনও যথেষ্ট ভালো। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমি কী করেছি তা আপনারই দেখুন।

নিজের ছেলের মৃত্যুর দিন মনে নেই এমন অভিযোগেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বাইডেন আরও বলেছেন, রিপোর্টটিতে মনযোগ আকর্ষণের জন্য কিছু ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমার ছেলে কবে মারা গেছে সেটি আমার স্মরণে নেই। কীভাবে তিনি এমনটি বলতে পারেন? আমার বন্ধু ও পরিবারের স্বজনদের নিয়ে প্রতিবছরই তার মৃত্যুর দিনে আমরা তাকে স্মরণ করি। সে কবে মারা গেছে সেটি স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য আমার কাউকে প্রয়োজন নেই।

বয়সের কারণে ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এমনিতেই সমালোচনা হচ্ছে। নির্বাচনের মাত্র ৯ মাস আগে স্মৃতিভ্রমের নতুন অভিযোগ তাকে আরও চাপে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছর, ডেলওয়ারের বাড়ি ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে বেশকিছু সরকারি নথি উদ্ধারের পরই তদন্তের মুখে পড়েন বাইডেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও বাইডেনের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট হুর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *