ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ভারতের সাথে যত গোপন চুক্তি করেছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করে চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদি হাসিনার সরকার কেবল নিজেদের আখের গোছাতে দেশকে ভারতের করতলে নিয়ে গিয়েছিলো। এখন ভারতের রাহু মুক্তি হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ভারতের সাথে সাক্ষরিত সকল গোপন চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করে চুক্তিগুলোর ভালমন্দ বিশ্লেষণ করে চুক্তিগুলো বাতিল করুন। ভারতের স্বার্থে কোন চুক্তি হতে পারে না। শেখ হাসিনা এ জন্যই তো বলেছিলো, “আমি ভারতকে যা দিয়েছি-ভারত আজীবন মনে রাখবে” এসব চুক্তির কারণে ভারত আমাদেরকে বন্ধু প্রতীম দেশ মানতেই নারাজ। আমাদের সাথে ভারতের আচরণ ছিলো নেহায়েত খারাপ।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কতৃক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্নভাবে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না, সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ভারত যদি আগ বাড়িয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করতে চায় তাহলে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে রাজি।
মুফতী রেজাউল করীম আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৈামত্ব নিয়ে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার অধিকার কোন রাষ্ট্রের নেই। এই যুদ্ধপ্রস্তুতি কার বিরুদ্ধে রাজনাথ সিংকে তা পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের জান-মাল রক্ষায় এদেশের জনগণ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
চরমোনাই পীর বলেন, ভারত এখনও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেনি। প্রয়োজনের সময় পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে আর বর্ষাকালে বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারে। বন্ধুরুপী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে হুমকি দিলে বাংলাদেশ সরকারকেও সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।