রমজানজুড়েই ইফতার মাহফিলের উদ্যোগ বিএনপির

হতাশা কাটিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। আন্দোলন-সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী কারামুক্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া রমজানজুড়েই নেয়া হয়েছে ইউনিট ভিত্তিক ইফতার মাহফিলের উদ্যোগ।

বিএনপি নেতাদের দাবি, দলে কোনো হতাশা নেই। উজ্জীবিত রয়েছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সবাই। বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, রাজনীতিতে হতাশা বলে কিছু নেই, শেষ বলে কিছু নেই। আমরা হতাশ নই বরং উজ্জীবিত। আমাদের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সুসংগঠিত আছে।

তবে, গত কয়েক বছর ধরে টানা কর্মসূচি পালন করতে করতে ক্লান্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তারপরও দিন বদলের আশায় চাঙ্গা ছিল তাদের মনোবল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী পরিস্থিতি অর্থাৎ এক দফার আন্দোলনে ব্যার্থতাসহ আরও নানা কারণে তাদের মধ্যে আসলেই হতাশা আছে কিনা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।

হতাশার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, নেতাকর্মীরা জেল থেকে বের হয়ে আবারও রাজপথে নামছে। বাসায় না গিয়ে রাজনৈতিক কার্যালয়ে, রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে প্রস্তুত।

এদিকে, পরিস্থিতি উত্তরণে কারামুক্ত নেতা-কর্মীদের বাসায় যাচ্ছেন সিনিয়র নেতারা। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ছুটছেন জেলা-উপজেলায়। এমনটিই জানিয়েছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে খুলনা ও সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। সেখানে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত দেখেছি। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের হতাশা নেই।

এছাড়া, পুরো রমজান মাস ঘিরে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি। নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন মহানগর থেকে থানা পর্যায়ের নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও এসেছে ইফতার মাহফিল পালনের নির্দেশনা।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, রমজানে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইফতারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা কর‍তে। এছাড়া দলের যারা বিপদে আছে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দলটির স্থায়ী কমিটির সবশেষ বৈঠকে কারাবন্দিদের জামিন নিশ্চিত করা ও মুক্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রসঙ্গ আসলেও, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে থাকাকেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ও আন্দোলনকে ঘিরে যে পরিমাণ নির্যাতন ও নিপীড়ন হয়েছে সেগুলো সবার জানা। দলের এসব নেতাকর্মীদের দেখাশোনা করা ও তাদের পাশে দাঁড়ানো, সহানুভূতি দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশাও এমনটাই। তারা জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবারও রাজপথে সরব হবে বিএনপি এমটাই আশা করছেন তারা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *