এ্যামেন্সিয়া রোগে ভুগছেন ওবায়দুল কাদের- রিজভী

ডামি সরকার’ নিজের ছায়া দেখে ভয় পাচ্ছে এবং তলে তলে বিপদ আঁচ করতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি নাকি ইসরাইলের দোসর এবং গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বরাবরই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাবার্তা আদিযুগের গল্পের মতো। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব টাটকা মিথ্যা কথা বলেন আর হাছান মাহমুদ সাহেব বাসী মিথ্যা কথা বলেন। সারাদেশের মানুষ জানে, গণতন্ত্রকামী বাংলাদেশের বিরোধী দল নিধনের জন্য ইসরাইল থেকে স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছে-যা দিয়ে মোবাইল ফোনে আড়িপাতা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ক্ষমতালাভের আগে পরে এরা কখনোই ন্যায়নীতির নির্দেশ গ্রাহ্য করেনি। এরা মুখে যা বলে, করে তার বিপরীত। হঠাৎ হাছান মাহমুদ সাহেব এ ধরণের কথা বলা শুরু করলেন কেন? মনে হচ্ছে ডামি সরকার নিজের ছায়া দেখে ভয় পাচ্ছে এবং তলে তলে বিপদ আঁচ করতে পারছে। এদের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা এড়াতেই ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ সাহেব’রা অকথ্য, অসত্য হাইপার-প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। ’

রিজভী বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন- ‘জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশী প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে’।

ওবায়দুল কাদের সাহেব ডিমেন্সিয়াতে নয়, তিনি এ্যামেন্সিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে ভুগছেন। উনি সম্পূর্ণ ভুলে গেছেন-২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং এর ভূমিকার কথা-যা ছিল একটি দেশের অভ্যন্তরে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল। কারণ তাদেরকে প্রভু মানে বলেই ওবায়দুল কাদের সাহেব’রা এই হস্তক্ষেপের সুযোগ দিয়েছিলেন এবং এখনও দিচ্ছেন। এই ঘটনা প্রমাণিত হয়-আওয়ামী লীগ প্রভুদের নিকট কতটুকু নতজানু। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার এক ভয়ানক দৃষ্টান্ত। এটি নিজ স্বার্থে দেশের অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়া।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন- ‘বর্তমানে দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছে’। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার কি মনে আছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন-‘প্রতিদিন একটু একটু করে লোডশেডিং দিতে বলেছি’। কেন বলেছিলেন, আসলে বিদ্যুতের কি দশা সেটি ‘ডামি প্রধানমন্ত্রীর’ কথাতেই প্রকাশ পায়। সেতুমন্ত্রীসহ ডামি সরকারের মন্ত্রীদের অনর্গল মিথ্যা বয়ান মূলত অচল, অবাস্তব, উপেক্ষণীয় এমনকি বর্জনীও বটে। এ ধরণের বয়ান জনগণের প্রতি তাদের নির্দয় মনোবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *