ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে সরব হুতিরা

ইয়েমেনজুড়ে মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাদের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই হয়েছে রাজধানী সানায় সশস্ত্র গোষ্ঠি হুতি বিদ্রোহীদের এই বিক্ষোভ সমাবেশ। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুচকাওয়াজের আয়োজন করে হুতি সমর্থকরা জানান দিলো, মার্কিন জোটের হামলায় এতোটুকুও ভয় পাননি তারা। খবর ব্লুমবার্গের।

কামান-রাইফেল আর ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে চলে প্যারেড। সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার বার্তা দেন হুতি সদস্যরা। পাশাপাশি ইয়েমেনের ভূখণ্ডে এমন আগ্রাসনের কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়।

হুতির একজন সদস্য বলেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য ইয়েমেনি জনগণ প্রস্তুত। ইয়েমেনের সব নাগরিকই একেকজন সেনা। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আমেরিকান ও ব্রিটিশ শত্রুদের মোকাবিলা করতেও আমরা সবসময়ই তৈরি আছি। আরেক হুতি সদস্যের ভাষ্য, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বৃদ্ধ থেকে যুবক ইয়েমেনের সব নাগরিকই অস্ত্র নিয়ে তৈরি আছে। যারা ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে, তাদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই– এসব হামলায় আমরা বিন্দুমাত্র ভয় পাই না।

ইরাক-সিরিয়ায় হামলার একদিন পর যুক্তরাজ্যকে সাথে নিয়ে ইয়েমেনেও অন্তত ১৩টি স্থানে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির অস্ত্রাগার, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার লক্ষ্য করে হয় ব্যাপক বোমাবর্ষণ। জানানো হয়, লোহিত সাগরে হুতিদের হামলার জবাবে নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ। এর আগেও, কয়েকবার হুতিদের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে দেশ দু’টি।

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে শুরু থেকেই সরব হুতিরা। লোহিত সাগরে অন্তত ২৮টি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে গোষ্ঠীটি। এমনকি মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডেও। জবাবে মার্কিন জোটের নেতৃত্বে হামলা অব্যাহত থাকলেও এতোটুকু বিচলিত নয় হুতিরা। গত সপ্তাহে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে সেনা মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা জবাবের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *