জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী আজ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৬ সালের এইদিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাঘমারা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মনসুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী কমর্সূচি পালন করছে বিএনপি।

তিনি ১৯ দফা কমর্সূচি দিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যান। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি দেশের মানুষের প্রিয় দল হিসেবে ‘৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ, ‘৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নিবার্চনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অধীনে অনুষ্ঠিত ’৮৬ সালের তৃতীয় ও ‘৮৮ সালের চতুথর্ এবং মহাজোট সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালে দশম সংসদ নিবার্চন বিএনপি বজর্ন করে। আর সপ্তম ও নবম সংসদ নিবার্চনে সংসদে বিরোধী দলে ছিল বিএনপি। সবের্শষ একাদশ সংসদ নিবার্চনে চরম ভরাডুবি হয় দলটির।

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ‘৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা যেমন এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছিল, তেমনি ’৭৫ সালে দেশের স্বাধীনতা-সাবের্ভৗমত্ব যখন হুমকির মুখে, তখন সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসীন হন। পরে দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবতর্ন এনে জিয়াউর রহমান চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সম্পকের্র সূচনা করেন। দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার সাতটি দেশকে নিয়ে ‘সাকর্’ গঠনের উদ্যোগ তারই। ওআইসিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর সংহতি জোরদার করার জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীণর্ হয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ পযর্ন্ত পাঁচবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৮১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সাকির্ট হাউসে মমাির্ন্তকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর তৎকালীন সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *