সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নেয়ার লড়াইয়ে নির্ধারিত সময় ম্যাচ ড্র হয়। এরপর টাইব্রেকারে পাকিস্তানকে ৮-৭ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশের যুবারা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভুটানের চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে শুরুতে জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের সাথে যোগ করা অতিরিক্ত সময় শেষ হবার ৩ মিনিট আগে স্কোরলাইনে সমতা আনতে সক্ষম হয় সাইফুল বারীর শিষ্যরা। আর টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে শাবাব আহমেদ গোল করেন। জটলার মধ্যে কর্ণার থেকে বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান। বাংলাদেশ প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়লেও বেশ নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলেছে। ফুটবলারদের মধ্যে পাসিং, আত্মবিশ্বাস সবই ছিল দর্শনীয়। বাংলাদেশ গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি এই অর্ধে। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মিঠু-মানিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। বাংলাদেশের চেষ্টা ছিল ম্যাচে সমতা আনার। ৬১ মিনিটে বাংলাদেশ উল্টো পাকিস্তানকে পেনাল্টি উপহার দেয়। পাকিস্তানের আক্রমণে নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করেন বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পাকিস্তানের আব্দুল রেহমান গোল করেন বেশ সহজেই। পরের মিনিটে পাকিস্তানের একটি আক্রমণ পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
জোড়ে গোলে পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা ছিল সর্বাত্মক। ৭৫ মিনিটে কর্ণার থেকে মিঠু চৌধুরির গোলে বাংলাদেশ খেলায় ফেরে। ৯০ মিনিট শেষে রেফারি ৭ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। বাংলাদেশ ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করে ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে। সংঘবদ্ধ আক্রমণে পাকিস্তানী ডিফেন্সকে পরাস্ত করে বাংলাদেশের বদলি ফুটবলার মানিক প্লেসিংয়ে সমতা আনেন এবং খেলা পরের ধাপে নেন। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে পাকিস্তানকে ৮-৭ গোলে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একই ভেন্যুতে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। সেমিতে নেপালকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা।