পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন শেষে এখন ভোট গণনা চলছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্স ও ডনের।
জাতীয় নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণায় বড় চমক দেখাচ্ছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। এখন পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩ আসনে জয় পেয়েছেন। এগিয়ে আছেন আরও ৩ আসনে।
অন্যদিকে, নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জয় পেয়েছে দুটিতে। এগিয়ে আছে ৩ আসনে। এরইমধ্যে জয় নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জয় পেয়েছে একটি আসনে। বুথফেরত জরিপে নওয়াজ শরীফের দল এগিয়ে থাকলেও প্রাথমিক ফলাফলে চমক দেখাচ্ছে ইমরানের দল।
বলা হয়ে থাকে, পাকিস্তানে কারা ক্ষমতায় থাকবে আর কোন দল ক্ষমতা হারাবে, তা নির্ভর করে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই সরকার গঠন করেছিলেন পিটিআই নেতা ইমরান খান। চার বছর বাদে ২০২২ সালে সেনাবাহিনীর বিরাগভাজন হয়েই গদি ছাড়তে হয় সাবেক বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে। এবারের নির্বাচনে ‘প্রভাবশালী’ সেনাবাহিনীর সমর্থন নওয়াজ শরিফের দিকেই বলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনটি আলাদা মামলায় কারাদণ্ড পেয়ে তিনি এখন জেলে বন্দি আছেন। তবে ইমরান খান জেলের ভেতর থেকেই নিজের ভোট প্রদান করেছেন।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সবমিলিয়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি বুথে ভোট দেন সাধারণ ভোটাররা।
স্থানীয় টেলিভিশনগুলোর বক্তব্য, এবার জাতীয় পরিষদের যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়েছে, ভোটগ্রহণের সাত ঘণ্টা পরেও সেগুলোর মাত্র ২০ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে।