চারিদিকে ডাকাতির আতঙ্ক নিয়ে রাত পার করলো রাজধানীবাসী। বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়ে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরও করেছে ছাত্র-জনতা। এলাকাভিত্তিক পাহারা বসিয়ে রাতভর চলেছে ডাকাত প্রতিহতের চেষ্টা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে করা হয়েছে মাইকিংও।
তবে এমন পরিস্থিতি থেকে বের হতে চান নগরবাসী। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরবর্তীতে তাদেরকে সেনাবাহিনীর টহল দলের হাতে তুলে দেয় তারা।
বসিলা এলাকায়ও একই অবস্থা। কিশোর বয়সী কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্রও প্রায় কাছাকাছি। ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্র আটকের ঘটনাও ঘটেছে ডাকাত আতঙ্কের এ রাতে।
সরেজমিন রাজধানীর অনেক এলাকায় দেখা গেছে, রাতভর পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক ছাত্র-জনতা টহল দিচ্ছে। যে দলে যোগ দিয়েছেন ছেলে থেকে বুড়ো, সব বয়সী মানুষ। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলেই চালানো হচ্ছে তল্লাশি। শুধু পথচারি নয়, রাস্তায় চলাচলকারি বিভিন্ন পরিবহনও থাকছে তল্লাশির তালিকায়। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এমন টহলের আয়োজন বলে যমুনা টিভিকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অনেক জায়গায় পুরুষদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন নারীরাও। সবার জন্য নিরাপদ নগরীর প্রত্যয় নিয়ে ঘর ছেড়ে তারা পাহারায় যোগ দিতে বেরিয়েছেন।
তবে, এমন অস্বস্তিকর অবস্থার অবসান চান নগরবাসি। তারা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুতই থানা-পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা জরুরি। এদিকে, ছাত্রজনতা জানিয়েছে পুলিশি টহল শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক এমন টহল চলমান থাকবে।