বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এ ১৯ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষুধা মোকাবেলায় বাংলাদেশ অগ্রগতি করলেও এখনও এখানে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে।
এবারের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্কোর ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তুলনায় ভালো। তবে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তা প্রকাশ উপলক্ষ্যে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের যৌথ আয়োজনে ‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের পথে: বাধা এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠান দুইটি মিলেই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এই সূচকের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ক্ষুধা নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও এখনও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২-এর প্রকৃত ক্ষুধামুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে আছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এখনও খাবারের তীব্র সংকটে থাকে।
মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ক্ষুধা সূচকের স্কোর নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ১১ শতাংশ শারীরিকভাবে দুর্বল। পাঁচ বছর বয়সের আগে প্রায় ৩ শতাংশ শিশু মারা যায়।