মির্জাগঞ্জ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ওই ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসানকে।
ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম কাজী মোঃ মিজানুর রহমান লাভলু। তিনি উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যান এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন,মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু কর্মস্থলে অননুমোদিত ভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন।ওই ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন গতিশীল রাখার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মাধবখালী ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ বরগুনা মহাসড়কের কাঠালতলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঘন্টা ব্যাপী এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। পরিষদের বরাদ্দের টাকা কাজ না করে তিনি আত্মসাৎ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জমি কিনে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় নির্মাণ করেছেন একটি আলিশান বাড়ি।
এছাড়াও প্রভাব খাটিয়ে রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকও কর্মচারী নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধবখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ হাসিবুল গনি মুনির খন্দকার, সহ-সভাপতি মোঃ জাফর আকন,ইউপি সদস্য মোঃ মহসিন হাওলাদার, মাধবখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদার প্রমূখ।