২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারদের (এসপি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ কথা লেখেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সঠিক জনপ্রতিনিধি পেতে চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। যাদের মদদে ফ্যাসিবাদের ডালপালা ছড়িয়েছে তাদের উপড়ে ফেলার বিকল্প হতে পারে না।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ জন জেলা প্রশাসককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এসব কর্মকর্তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর পাশাপাশি ৪০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হওয়া ফাইজুলসহ ৬ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়।
এছাড়া, গত বুধবার ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এই ৩৩ জন যুগ্মসচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এর আগেও একই কারণে ১২ জন কর্মকর্তাকেও ওএসডি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। চৌদ্দর নির্বাচনে নজীরবিহীনভাবে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। সেই নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একচেটিয়াভাবে নির্বাচন করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটে বাঁধা দেয়া ইত্যাদি অভিযোগও ওঠে। সেই নির্বাচনে ২৫৮টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ।