ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সকল সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হেলথকার্ড দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় আহত দুইজন শিক্ষার্থীর হাতে হেলথকার্ড তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারা হলেন, নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু। পাশাপাশি তাদের চিকিৎসাসেবা ও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজও নেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই হেলথকার্ডের মাধ্যমে আহতরা যেকোনো সময় সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এই কার্ড সবসময়ই থাকবে। আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমরা নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক নিরাপত্তা সরকার নিশ্চিত করবো। পাশাপাশি আহতদের মানসিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করার বিষয়ে ভাবতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট জেলায় গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে হেলথকার্ড বিতরণ করা হবে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত ১০৭৪ জন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জনের দুই চোখ পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ৪৫০ জনের এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবুল কেনান বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ জন রোগীর হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়েছে। কয়েকজন রোগীকে বিদেশে নেয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগীই ধীরে ধীরে সুস্থ হবে এবং তাদের কারো মৃত্যুঝুঁকি নেই বলেও জানান তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও সম্পাদক সারজিস আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
