চাঁদপুরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে শেয়ালের মাংস

শেয়ালের মাংসে আছে নানান রোগের উপকারিতা অথচ জানতেন না বন্যপ্রাণী নিধন আইনের অপরাধের কথা। তাই স্থানীয়দের সহায়তায় একটি শেয়াল শিকারের পর প্রকাশ্যে খোলা বাজারে বিক্রি করতে মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেন মো. খলিল মিয়া।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন ঘটনা ঘটে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজারে। খলিল মিয়া ওই ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামের মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে।

খবর পেয়ে খলিল মিয়াকে ডাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া। পুরো পরিবার নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে আত্মসমর্পণের পর মুচলেকায় মুক্তি মেলে তার।

বাজারের সচেতনদের তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটওয়ারী ঘটনাস্থলে গিয়ে শেয়ালের মাংস না পেলেও ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।

হতদরিদ্র খলিল মিয়া হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, আমি মানুষের কামলা দিয়ে খাই। মুরুব্বিরা বলছে শেয়ালের মাংস খেলে বাত ব্যথাসহ নানান রোগের উপকার হয়। তাই আমি প্রতি ভাগ মাংস ২০০ টাকা করে বিক্রির জন্য বসেছিলাম। জানতাম না শেয়ালসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী হত্যা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। জীবনে আর কোনো দিন এমন কাজ করবো না।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। খলিল মিয়াকে ডাকার পর পুরো পরিবার নিয়ে সে আমার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে। অপরাধের বিষয়টি পর্যালোচনা করে জীবনে আর কোনোদিন এমন কাজ করবে না মর্তে লিখিত অঙ্গীকারের ভিত্তিতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *