বাউফলে দুই বাসায় ডাকাতির অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে ভোররাতে ভবনের জানালার গ্রিল কেটে দুইটি বসতঘরে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোররাত ২টার পর উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের সরদার বাড়ি সংলগ্ন তাছলিমা মঞ্জিল ও মাঝপাড়া খান বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী দুই পরিবার জানায়, ভোররাতে জানালার গ্রিল কেটে ৬ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের মুখে অবরুদ্ধ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় তাদের ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে যায়। পরিবারের বাচ্চাদের স্কুলের ব্যাগও ছাড়েনি এই ডাকাত দল।

তাছলিমা মঞ্জিলের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বলেন, প্রথমে তারা অস্ত্রের মুখে আলমারির চাবি হাতিয়ে নেয়। প্রায় নগদ ১ লাখ টাকা, প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ফ্রিজের মাছ-মাংস নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। তারা কালো কাপড়ের মুখোশ পরে এসেছিল বলেও জানান তিনি।

খান বাড়ির ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আবদুর রহিম বলেন, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫৩ হাজার টাকা, আনুমানিক ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ফ্রিজের মাছ-মাংস নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ডাকাতরা পালিয়ে গেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি থাকায় পরিবারের সদস্যরা ডাকাতরা যাওয়ার আগে পর্যন্ত নিশ্চুপ ছিলেন। ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা একই ডাকাত দল ঘটিয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনায়স্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী দুই পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ ডাকাতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে এবং লুঠ হওয়া মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বাউফল উপজেলায় ২০টির বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে জেলা পুলিশের অভিযানে একটি আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র গ্রেফতার হলে কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ফের একই রকম ডাকাতির ঘটনায় উপজেলাবাসীর মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *