নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখে সবজি ও পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় ২৫ জনকে আটক করেছে র্যাব। তার মধ্যে ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১২ জনকে আর্থিক জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ করা হয় চাঁদা আদায়কালে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১১ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জুয়েল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন, খলিল, ওমর ফারুক, হাসান মাসুম, বিপ্লব খান, ফরহাদ হোসেন, আসিফ, আতিকুর রহমান ও মারুফ হোসেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কবির হোসেন, রানা, রাজিব, দিপু, সাদ্দাম হোসেন, সুমন খান , আব্দুর রহমান মুন্না, সোহেল, আল আমিন, ইকবাল, রকিবুল হাসান ও রাসেল।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কবির হোসেন (২৮), রানা (৩০), মো. রাজীব (৩০), দিপু (১৯), সাদ্দাম হোসেন (১৮), সুমন খান লাল (৩২), আবদুর রহমান (৪০), মো. সোহেল (৩৫), আল আমিন (৩৫), মো. ইকবাল (৪৫), রকিবুল হাসান (২৬) ও মো. রাসেল (২৫)। কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়।
র্যাব জানায়, পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। তাই চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে নজরদারি বাড়ায় র্যাব-১১। কারা ও অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা স্বীকার করেছেন, তারা নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে আসছিল। ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতি রাতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় অবস্থান নেয় তারা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে। চালকরা চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব।