রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে ৩৭ জম কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার বেলা ১১টায় র্যাব-১ উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, আটক ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাং-জিরো জিরো সেভেন গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য।
এদের মধ্যে ০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানি (লন্ডন পাপ্পু চালায়) আকাশ ও আমির হোসেন গ্রুপ’ জাহাঙ্গীর গ্রুপ ওরফে বয়রা জাহাঙ্গীর।
গ্রেফতার অন্যরা হলো- রাসেল, আরাফাত, রবিন, আল-আমিন, ইসলাম, জুয়েল, রবিউল, মুরাদ, মাহাবুব, সাদ, রোহান, মনা, হৃদয়, ওবায়েদ, জিসান, আকাশ, ঈমন, রমজান, সজিব, শাকিব, রাজিব, আমির হোসেন, শাহজাহান সাজু ওরফে রাসেল, জিলাদ মিয়া, হৃদয়, আ. রায়হান, বাবু মিয়া, শাহজাহান, জালাল মিয়া, লামিম মিয়া, রাকিব, হিরা মিয়া, ইমরুল হাসান, সাকিন সরকার রাব্বি, সুজন মিয়া, খাইরুল ও রাহাত।
র্যাব জানায়, র্যাব-১ এর একাধিক দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
এসব কিশোর গ্যাং গ্রুপের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল, ১টি ব্লেড, ১টি কুড়াল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ৫টি রড, ১৬টি চাকু, ৩টি লোহার চেইন, ১টি হাতুড়ি, ১টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায়, এরা প্রত্যেকেই গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেক গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০-১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে যে কোনো পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল বলে অকপটে স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।