ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে নাজমা (২৮) নামে এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যার শিকার তরুণীর নাম নাজমা। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামীর সঙ্গেই সেখানে থাকতেন। শুক্রবার সকালে রামমূর্তি নগরের কলকেরে লেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার স্বামীর দেওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাজমার ভাইও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনিও এই শহরে থাকেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান আছে। যারা বাংলাদেশে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকে।

তবে নাজমার কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তার স্বামী সুমন বৈধভাবে গত ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করে আসছেন। তার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। তিনি সেখানে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিশোধনের কাজ করেন।

সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, নাজমা কালকেরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতেন। তারা রামকৃষ্ণ নামক একটি এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তার কর্মক্ষেত্রটি কাছেই ছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে কাজ শেষে বের হওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে পথচারীদের কাছ থেকে জরুরি বার্তা পায় পুলিশ। যারা নাজমার মরদেহ লেকের একটি নির্জন জায়গায় পড়তে থাকতে দেখেন। পুলিশ গিয়ে দেখে, নাজমার মাথা ও মুখে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তাকে শ্বাসরোধ করার চিহ্নও স্পষ্ট ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছিল তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। নাজমার হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ব ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) দেবরাজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াডকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় বলেন, শুক্রবার সকালে আমাদের কাছে একটি ফোন আসে। আমাদের জানানো হয়, কালকেরে লেকের কাছে একটি নির্জন এলাকায় এক তরুণের লাশ পড়ে আছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এটি একটি জঘন্য অপরাধ। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার ওপর কতটা যৌন পাশবিকতা চালানো হয়েছে, সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এ মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *