সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ছে রাজধানীর বায়ুদূষণ। এ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা থাকলেও নেই কার্যকর পদক্ষেপ। গবেষণা অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারির বায়ুদূষণ বিগত ৭ বছরের তুলনায় বেশি। এছাড়া, গত ৮ বছরের মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে এ বছরের জানুয়ারি মাস অবস্থান করছে তৃতীয় অবস্থানে।
মূলত, ইটভাটা, নির্মাণস্থানের ধুলা ও যানবাহনের ধোঁয়া রাজধানীর বাতাসকে করে তুলছে বিপজ্জনক। আর ধুলার চাদরে ঢাকা পড়ছে সবই।
এ নিয়ে অবগত রাজধানীর বাসিন্দারাও। কয়েকজন বলেন, নগরীতে গাছপালা নেই, এত গাড়ি চলে, এগুলোর ধোঁয়া কই যাবে। এসব শরীরে প্রবেশ করে। গাড়ি চলাচলে রাস্তায় ধুলাবালি উড়ে বেশ, সেগুলোও শরীরে আসে।
বায়ুদূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, এ বছর প্রথম মাসের ২৫ দিনের বায়ুদূষণ গত সাত বছরের জানুয়ারির গড় মানের তুলনায় ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক ধুলাবালির বা পিএম ২.৫ এর যে মানমাত্রা রয়েছে, ঢাকার মানুষ তারচেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ দূষণের মধ্যে আছে। ধুলাবালির পাশাপাশি দূষিত গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড মানুষ বাতাসের সাথে নিচ্ছে।
ক্যাপস চেয়ারম্যানের মতে, বায়ুদূষণের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা দ্রুত অপসারণ জরুরি। একইসাথে বিরত থাকতে হবে বর্জ্য পোড়ানো থেকেও।
আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, সরকারকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এটি সম্ভব না, এরসাথে যুক্ত রয়েছে আরও ২০-২৫টি মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর। সকলে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলকভাবে কাজ না করলে বায়ুদূষণ কমানো যাবে না।