বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অঘোষিত সেমিফাইনালের এই লড়াইয়ের উত্তাপ জুড়ে ছিল সাকিব-তামিম মহারণ।
এদিন টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। দুই অংকের রানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটার। ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে ধুঁকতে থাকে তারা। এরপর শামীম হাসানের বিধ্বংসী ২৪ বলে ৫৯ রানের সুবাদে ১৪৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স। জেমস নিশাম করেন ২৮ রান। বরিশালের পক্ষে জেমস ফুলার নেন ৩টি উইকেট। সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদিকে সাজঘরে ফিরিয়ে শুরুতেই জোড়া আঘাত হানা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এই ২ উইকেটেই। জয়ের জন্য বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫০ রান।
নির্ধারিত রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন ওপেনার তামিম ইকবাল। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। তামিম আউট হওয়ার দুই বল পরে আউট হন মিরাজও। ব্যক্তিগত ৮ রানে রনির এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন তিনি। দলীয় ২২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। এরপর পরিস্থিতি সামাল দেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। দলীয় ৭০ রানে সৌম্য আউট হলে ক্রিজে আসেন কাইল মায়ার্স। খেলেন ১৫ বলে ২৮ রানের দারুন এক ইনিংস। শেষ ৪ ওভারে জেতার জন্য বরিশালের প্রয়োজন হয় ২২ রান। হাতে তখনও ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিমের ৬-এ শেষ হাসি হাসে বরিশাল। রংপুরের পক্ষে আবু হায়দার রনি ৩৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ৪৭ রান সেইসাথে ৪টি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হন মুশফিকুর রহিম।
লিগ পর্বে টেবিল টপার হলেও প্লে-অফে দুইটি সুযোগের একটিও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় সাকিব-সোহানরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসবে বিপিএলের দশম আসরের মেগা ফাইনাল। মুখোমুখি হবে চারবারের চ্যম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল।