আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরাইল গত ৮৯ দিনে গাজা উপত্যকায় ৪৫ হাজারের বেশি বোমা ফেলেছে। এসব বোমার মোট ওজন ৬৫ হাজার টনের বেশি। গাজা মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানায়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে ২২ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
গাজা মিডিয়া অফিস জানায়, গাজা উপত্যকায় ব্যাপকভিত্তিক গণহত্যার যুদ্ধে দখলদার বিমানবাহিনী ৪৫ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিশাল বোমা ফেলেছে। এগুলোর কোনো কোনোটিতে বিস্ফোরক ছিল দুই হাজার পাউন্ডের বেশি। তারা পরিকল্পিতভাবে আবাসিক এলাকাগুলোকে টার্গেট করছে।
এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ফেলা বিস্ফোরকের ওজন ৬৫ হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে। এই ওজন জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পরমাণু বোমার তিনটির সমান।
অফিস আরো জানায়, এসব বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রিত ও সুস্পষ্ট লক্ষ্যভেদী ছিল না। এগুলোকে সাধারণভাবে ডাম্প বোমা বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, এসব বোমা ব্যবহারে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে তারা দখলদার বাহিনী নির্বিচারে এবং অযৌক্তিকভাবে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। আর তা আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোর সুস্পষ্ট বরখেলাপ।
এতে আরো বলা হয়, গাজায় বেসামরিক নাগরিক, শিশু ও নারীদের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ প্রায় ৯ ধরনের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র ফেলা হয়েছে।
গাজা মিডিয়া অফিস জানায়, যেসব নিষিদ্ধ বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় ফেলা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাঙ্কা-বাস্টিং বোমা (বিএলইউ-১১৩, বিএলইউ-১০৯, এসডিবিএস), আমেরিকান টাইপ (জিবিইউ-২৮), হোয়াইট ফসফরাস বোমা, স্মার্ট বোমা, হালবার্ড গাডাম ক্ষেপণাস্ত্র।
এতে বলা হয়, এসব বোমা গণহত্যা সৃষ্টি করছে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হতাহত ঘটাচ্ছে। এছাড়া আহত লোকেরা স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এসব বোমা থেকে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়ার ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর