কলাপাড়ায় কুচক্রি মহলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ রিনা

কলাপাড়া প্রতিনিধি : স্বামী পরিত্যাগতা রিনা বেগম (৩৫)। দুইটি সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করছেন। বড় ভাই শহিদুল সরদারের সহযোগীতা ও মানুষের বাড়িতে কাজ করেই দিন কাঁটছে তার। দুই সন্তান মাদ্রাসায় থাকায় বাবার বাড়িতে ছোট্ট একটি কুটিরে একাই থাকেন তিনি। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকেই স্থানীয় কতিপয় কুচক্রিদের অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার জীবন।

খেড়ের পালায় আগুনে পুড়িয়ে হুমকী দেয়া, গভীর রাতে দড়জায় আঘাত করা এমনকি সিঁধ কেঁটে ঘরে ঢুকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে তার জীবনে। এ কাজগুলো যারা করছেন তাদের চিনতে পারলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের ভূক্তভোগী রিনা বেগম।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন বিভাজনের পরে তাদের গ্রামটি ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের আওতায় পরেছে। তবে, তিনি এখনও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ভোটার। স্বামী পরিত্যাগতা হওয়ার পর থেকে এখানেই বসবাস করছেন। বিগত বছরগুলো ভালোই কাটছিলো। হঠাৎ ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকেই তিনি বিভন্নভাবে হয়রানী ও অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছেন।

সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই কতিপয় কুচক্রিরা তার ঘরের পিছনে সিঁধ কেঁটে ঘরে ঢুকে। টের পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে ঘরে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। যাবার সময় পার্শ্ববর্তী তার বড় ভাই শহিদুল সরদারের বাসার সামনে থেকে একটি মটর নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে তার বাড়ির আঙ্গিনায় ওই চক্রের এক সদস্যের ব্যবহৃত একটি গামছা পাওয়া যায়। যে গামছাটি স্থানীয় ফারুক হাওলাদারের বলে অনেকেই চিহ্নিত করেন। কিন্তু তাদের ক্ষমতার কাছে নিরুপায় হয়ে অসহায় জীবন কাঁটাচ্ছেন তিনি। বড় ধরনের যে কোন ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের সাহায্য চাইছেন রিনা বেগম ও তার পরিবার।

রিনা বেগমের বড় ভাই শহিদুল সরদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করতে থানায় আসার সময় স্থানীয় তেগাছিয়া বাজারে পৌঁছালে ফারুক হাওলাদার তাকে মারধর করেন। ওই চক্রটির কাছে তারা অসহায় হয়ে পরেছে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ভাবে তাদের হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত ফারুক হাওলাদারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় শহিদুল সরদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তবে, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *