ক্ষমতায় থাকাকালীন নিয়মিত বিরতিতেই আলোচনায় ছিলেন। সাবেক হওয়ার পরও বিতর্কিত নানা ঘটনায় জড়িয়েছে তার নাম। আলোচিত-সমালোচিত সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার সম্ভাবনা ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় কিছু না ঘটলে আবারও ডোনাল্ড ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। জনমত জরিপে এগিয়ে এই রিপাবলিকান নেতা।
গতবার ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরেছিলেন। এবারও ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী সেই বাইডেনই। তবে জরিপ বলছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিনীদের কাছে কমেছে বাইডেনের জনপ্রিয়তা। অন্যদিকে, মামলা মোকাদ্দমা আর নানা বিতর্কের পরও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা উল্টো বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সবশেষ জরিপের ফলাফলও বলছে, আবারও ট্রাম্পকেই ক্ষমতায় চান বেশিরভাগ মার্কিনী।
তিনদিনব্যাপী এ জরিপে ১২৫০ মার্কিনির মধ্যে ৪০ শতাংশই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। আর বাইডেন পেয়েছেন ৩৪ শতাংশের সমর্থন। সাম্প্রতিক আরও বেশ কয়েকটি জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও হয়েছিলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সবশেষ জরিপের ফল বলছে, নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ততো জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
একজন মার্কিন নাগরিক বলেন, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে খুব একটা খারাপ ছিলেন না। তবে আমার ধারণা, যখন রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় ছিলো, তখন বছর শেষে আমার আর্থিক অবস্থা বর্তমানের চেয়ে আরও ভালো ছিলো। আরেক নারী ভোটারের বক্তব্য, আমি চাই ট্রাম্পই আবার জিতুক। কারণ, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন অনেক ভালো কাজ করেছেন। অন্য প্রেসিডেন্ট থেকে তিনি বেশি যোগ্য।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মার্কিন সরকারের এমন ঢালাও সমর্থনে অনেক মার্কিন নাগরিকই অসন্তুষ্ট। পাশাপাশি রাশিয়ার বিপক্ষেও ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেন তেমন কোনো সফলতা পাচ্ছেই না, বরং কূটনৈতিক চাপে রাশিয়াকেও চাপে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব কারণেই জনগনের সমর্থন হারাচ্ছেন জো বাইডেন।
বর্তমান ডেমোক্রেট সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ঢল। তাই একের পর এক মামলা আর বিতর্কের পরও অভিবাসন নীতিতে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের জনসমর্থন বাড়াচ্ছে।
অবশ্য ট্রাম্প ও বাইডেন, প্রবীন এ দুই প্রার্থীকে ভোটের লড়াইয়ে দেখতেই চান না অন্তত ৬৭ শতাংশ মার্কিন। তবে বিকল্প না পেলেও তাদের বেশিরভাগই ভোটে অংশ নেবেন। মাত্র ১৮ শতাংশ মার্কিনির এ দুজনকে ভোট দেয়ায় আগ্রহ নেই।