হাফেজে কোরআনদের আগামীতে রাষ্ট্র্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেতৃত্ব দিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তর্বতি সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হাফেজে কোরআনদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হবে ও অবদান রাখতে হবে। সদাসর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে হবে।

শুক্রবার (৩১জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জাতীয় হাফেজে কোরআন পরিষদ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত জাতীয় হাফেজে কোরআন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন,আমাদের দেশের হাফেজে কোরআনরা বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিয়ায় অংশগ্রহন করে কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হয়ে দেশের সম্মান বয়ে এনে দেশকে বিশ্বের বুকে গৌরবান্বিত করেছে।

জাতীয় হাফেজে কোরআন পরিষদ বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ নোমান এবং সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম খান।

অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহিদুল হক, চট্টগ্রাম জামিয়া লালখান বাজার মাদরাসার সহকারী পরিচালক মুফতী হারুন ইযহার, চট্টগ্রাম আহসানুল উলুম গাউছিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বায়ান হাশেমী, চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা আহ মদুর রহমান নদভী ও চট্টগ্রাম ওমরগনি এম ই এস কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল অধ্যাপক হাফেজ রেজাউল করিম ছিদ্দিকী, শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাছির উদ্দীন, মাওলানা হাফেজ মিসবাহ উদ্দিন, মাওলানা হাফেজ শহিদুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ এবিএম শহিদুল্লাহ, হাফেজ সাজ্জাদ মারুফ, হাফেজ মাহফুজুর রহমান মিনহাজ, সংগঠনের কুমিল্লা জেলা সভাপতি হাফেজ সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা সভাপতি হাফেজ আতাউর রহমান।

সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবী ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এডভোকেট হাফেজ নাঈম আহসান তালহা।

দাবীসমূহ হলো-
১.হাফেজদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
জাতীয় হাফেজ কল্যাণ তহবিল গঠন করা।
২.মসজিদ,মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্টানে হাফেজদের জন্য নূন্যতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা।
৩.হাফেজদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা।
৪. বর্তমানে দেশে হাফেজে কোরআন দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দেশের প্রতিটা মসজিদ তারাবির জন্য ৩-৪ জন হাফেজে কোরআন নিয়োগ নিশ্চিত করাসহ
১২দফা দাবী ও প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *