গাজ্জা ও দক্ষিণ লেবাননে গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপে পরিষদের স্থায়ী সদস্য সহ ৫২টি দেশের সমর্থন পেয়েছে তুরস্ক।
রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানী রিয়াদে ওআইসি ও আরব লীগের পররাষ্ট্র পর্যায়ের যৌথ শীর্ষ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান একথা জানান।
তিনি বলেন, ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে তুরস্ক জাতিসংঘে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সহ ৫২টি দেশের সমর্থন লাভ করেছে। আমরা যা দেখছি তা হলো, ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য ও বৈধ অধিকারের পক্ষে সংকল্প ও নৈতিক ভিত্তির কোনো কমতি নেই। বরং কমতি হলো, করেই ছাড়বে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার।
তিনি আরো বলেন, গণহত্যা থামাতে ও মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধে এখনই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের। ইসরাইলের সাথে বাণিজ্য বন্ধের মাধ্যমেও এটি হতে পারে। হতে পারে, আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান গণহত্যা মামলায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে ও ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা UNRWA কে সমর্থন যুগিয়ে।
গাজ্জায় হামলা চালিয়ে গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল, যা আমাদের অবশ্যই থামাতে হবে। নিতে হবে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ। আহবানে সাড়া দেওয়া দেশের সাথে চালাতে হবে সম্মিলিত প্রয়াস।
তুরস্ক মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে জোর দেওয়ার আহবান জানাচ্ছে, যারা গাজ্জার পাশাপাশি লেবাননেও নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করেছে। এছাড়া জেরুসালেমে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে আকসা হুমকির মুখে রয়েছে। ইসরাইলের মন্ত্রীরা, এমনকি উদার রাজনীতিকরাও এর ঐতিহাসিক অবস্থান ও স্থিতাবস্থা পাল্টে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের জন্য নয় বরং বিশ্বের সকল মুসলিমের জন্যই উদ্বেগের। তাই আমাদের শুধু শব্দ-বাক্যের তুড়ি ফোটালে হবে না, কথা ও কাজ এক করে দেখাতে হবে।
এছাড়া সমেলনের ফাঁকে তিনি ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসাইন, মালদ্বীএর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ খলিল, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আ’ত্বীর সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হোন।