- স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার পতনের একদফা দাবিতে অসহযোগের ডাক দেয়া যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দল ও জোটগুলো নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে রাজধানীতে গণসংযোগ, মিছিল, সমাবেশ এবং লিফলেট বিতরণ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব, মতিঝিল, বিজয়নগর মোড় এবং পল্টনসহ ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় নেতাকর্মীরা দোকানদার, রিকশাচালক এবং সাধারণ মানুষের হাতে হাতে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দেন।
দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একতরফা ভোট বর্জনের পক্ষে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি মতিঝিল গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নাশকতার পথে সরকার এমনভাবে আছে যে, ওদের আগুনে পোড়া মানুষ দরকার, ওরা এতই নিষ্ঠুর এবং নির্মম। সেজন্য ট্রেনের আগুন কিলোমিটারের পর কিলোমিটার গেলেও থামে না। এ কারণেই আন্দোলন ও জনগণের বিরোধিতাকে দমন করার জন্য নাশকতার চাল চালছে সরকার। জনগণের কাছে সরকারের এই চাল ধরা পড়েছে। জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে, দিন বদলাবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিজয়নগর মোড় পর্যন্ত নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাকর্মীরা। এসময় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশবাসীর কাছে আওয়ামী লীগ একটি আতঙ্কের নাম। কারণ সারা দেশে এরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদের কাছে সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদসহ কেউ নিরাপদ নয়।
দুপুরে পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। লিফলেট বিতরণের সময়ে বাংলাদেশ এলডিপি’র মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগের বাঁচার এখন একমাত্র পথ, সেটা হলো পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ ছাড়া এই সরকারের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।
বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে পুরানা পল্টন মোড়সহ এর আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। লিফলেট বিতরণ শেষে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আগামী ৭ই জানুয়ারি দেশে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার তাঁবেদার নির্বাচন কমিশন। জনবিচ্ছিন্ন এই নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার পুনরায় হরণ করার নোংরা খেলায় মেতেছে লুটেরা সরকার। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের ফাঁদে জনগণ পা দেবে না। দেশের ১৮ কোটি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
একই দাবিতে গতকাল এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করে।