মধ্য আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র হামলায় ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (জেএনআইএম)।
গত শনিবার বুরকিনা ফাসোর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর কায়া থেকে ৪০ কিলোমিটার বা প্রায় ২৫ মাইল উত্তরের বারসালোঘো অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য পরিখা খোঁড়ার কাজে যুক্ত মানুষজনের ওপর বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। হামলার পর থেকে বেশ কয়েকজন সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। হামলাকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র ও একটি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যায়।
সেনেগালের রাজধানী ডাকার থেকে আল-জাজিরার নিকোলাস হক জানান, হামলার ঘটনার পরবর্তী সময়ের একটি ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ করেছে জেএনআইএম।
নিকোলাস হক বলেন, ভিডিওতে তারা নারী-পুরুষ-শিশুদের নিজেদের খোঁড়া পরিখার ভেতর পড়ে থাকতে দেখেছেন। সেটি যেন একটি গণকবরে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে কায়া শহর থেকে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য কর্মীদের আনা হয়েছে।
বুরকিনা ফাসোর ভূখণ্ডের অর্ধেক আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিকোলাস হক বলেন, সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে গত শুক্রবারই আভাস পেয়েছিল বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী। এ জন্য স্থানীয় লোকজনকে পরিখা খুঁড়তে বলা হয়েছিল।