বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ত ও ইসলামী তাহযিব তামাদ্দুন ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান সরকার ভারতের সাজেশনে দেশ চালাচ্ছে। ভারতের আধিপত্য এদেশের মানুষ মেনে নিবে না।
শনিবার (২৩ মার্চ) পুরানা পল্টনস্থ হোটেল ওয়েষ্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে রাজনীতিবিদ, উলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং ভারতের পণ্য বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে মাওলানা নুরপুরী বলেন, বাংলাদেশের আভ্যন্তরিণ বিষয়ে নাক গলাবেন না। না হয় ভারতও টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইফতার মাহফিল ও কুরআন শিক্ষায় বাঁধা ও হামলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যারা ইফতার মাহফিল ও কুরআন শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিন। না হয় সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কুরআনের শিক্ষা বন্ধের পয়তারা করছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এদেশের মানুষ কুরআনের সাথে আছে যারা কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তাদের প্রতিরোধ করতে দেশের জনগণ পিছপা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ৩ বছর যাবত কারাগারে বন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা দেখেছি অনেক মামলার আসামী মুক্তি পেলেও মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। তিনি কেন মুক্তি পাচ্ছে না, দেশের মানুষ জানতে চায়? এভাবে একজন আলেমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকিয়ে রাখা দেশে ও জাতির জন্য অশুভনীয়। সুতরাং মাওলানা মামুনুল হককে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। না হয় কঠোর আন্দোলনে নামতে আমরা বাধ্য হবো।
মাওলানা নুরপুরী বলেন, যে সরকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারে না। সে সরকার জনগণের কল্যানে কিভাবে কাজ করবে। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে জনগণের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে বিধাই নিন। এটা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ হবে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোটে সব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন(এনডিএম) সভাপতি মুহাম্মদ ববী হাজ্জাজ, আমার বাংলাদেশ পার্টি(এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারেকুল হাসান, নেজামে ইসলাম পর্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। জজকোর্ট এর সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন মিসবাহ, এডভোকেট আব্দুস সালাম। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলনা কোরবান আলী কাসেমী, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রকশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসইন, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, হাফেজ মুজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নুর মোহাম্মদ আজিজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ আমিনী, মহানগর উত্তরের সধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসইন রাজী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ ও সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আশিকুর রহমান জাকারিয়া প্রমুখ।