স্টাফ রিপোর্টারঃ শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে ‘অসহযোগ’ আন্দোলন ও আগামী ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
জোট নেতারা বলেন, যে সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে; যে জালিম সরকার আপনার-আমার ভাই ও সহকর্মীদের গুম-খুন করে অগণিত পরিবার পরিজনদের এতিম বানিয়েছে; এখন আপনার-আমার ঈমানি দায়িত্ব দেশ বাঁচাতে সেই জালিম-ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারকে অসহযোগিতা করুন।
১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে ‘অসহযোগ’ আন্দোলনকে সফল করার লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য আহ্বান জানান।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে জোট নেতারা এ আহ্বান জানান। এতে সই করেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম প্রমুখ।
এর আগে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যে অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে- সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের কাজ হতে পারে না।
আজ এই মুহূর্ত থেকে এই সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
যা থাকছে অসহযোগ আন্দোলনে-
১. আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। নির্বাচনের নামে ৭ জানুয়ারির ‘বানর খেলার আসরে’ অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার।
২. নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচনে’ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
৩. বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন।
৪. ব্যাংকগুলো এই অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।
৫. মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আপনারা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।