হাত-পা বেঁধে কলেজছাত্রকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া মন্ডলপাড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাসের চার তলা ভবনের ছাদ থেকে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

রুবেলের বাড়ি কুস্টিয়ার কুমারখালি এলাকার মির্জানগর গ্রামে। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। সে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক পৌনে এগারোটার দিকে রুবেলকে ওই ছাত্রাবাসের সামনে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রথমে তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

রুবেলের সাথে থাকা তার রুমমেটরা জানান, আবাসিক মেসের তিন তলার একটি কক্ষে রুবেলসহ তারা আরো দুইজন থাকতেন। রাতে রুমের লাইট বন্ধ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে কি হয়েছে এ বিষয়ে তারা কিছুই জানাতে পারেননি।

ভবনের ছাদের উপর গিয়ে দেখা যায়, রুবেলের স্যান্ডেল পড়ে আছে এবং সেখানে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা তাকে হাত পা বেঁধে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে সে বিষয়ে রুমমেট ও ওই ছাত্রাবাসের কেউই কিছুই বলতে পারেনি।

কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের এসপি আবু রাসেল বলেন, হত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে। দ্রুতই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *