সীমান্তে বিজিবিকে পিঠ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের আর পিঠ দেখিয়ে থাকতে হবে না। এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বিজিবি সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা দানবে পরিণত করেছে তাদের বিচার হবে। দেশি ও আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের দাঁড় করানো হবে। প্রতিটি হত্যার পর বিজিবিকে সীমান্তে পতাকা বৈঠক করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই।
এ সময় পুলিশ নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ খুবই অনুতপ্ত পুলিশকে যাতে আর কেউ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বলেছে এই পোশাক পরে তারা একদিনের জন্যও বের হতে চান না। পুলিশের ইউনিফর্মের ডিজাইন এবং ড্রেসের ডিজাইন দিতে বলা হয়েছে।
লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যদি জমা দেয়া না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ২ রকম আইনি ব্যবস্থা হবে। প্রথমটি হলো নিষিদ্ধ অস্ত্র ছিনতাইয়ের দায় আর দ্বিতীয়টি হলো অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা।
১৫ আগস্টে যাতে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে এজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। আর এদিন ছুটির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান তিনি।