শত প্রজন্ম ধরে টিকে আছে বরিশালের মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ। যদিও ইতিহাসের পাতায় খুব বেশি তথ্য নেই নির্মাতাদের। তবে মসজিদের সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এখনও। বছরের পর বছর মসজিদটিতে নামাজ আদায় করছে মুসল্লিরা।
অপরূপ এই মসজিদটি বরিশালের রায়পাশা-কড়াপুর এলাকায় অবস্থিত। এটি দেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। মসজিদের নির্মাণশৈলীতে মোঘলদের আভিজাত্য লক্ষ্য করা যায়। দেয়ালজুড়ে দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন নকশার কারসাজি।
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদে ছোটবড় ২০টি মিনার রয়েছে। সবচেয়ে বড় গম্বুজের ভেতরের অংশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি অপরূপ মসজিদটি দেখতে, দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। দোতলায় ওঠার সিঁড়ির নিচেই রয়েছে দুটি কবর। তবে সেখানে কারা শায়িত আছেন জানেন না কেউই।
ঠিক কত শতাব্দী আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য দিতে পারেন না কেউই। তবে লোকমুখে প্রচলন আছে, ব্রিটিশ আমলের শুরুতে এক জমিদার মসজিদটি নির্মাণ করেন। চুন, সুরকি, মাসকলাই ও চিটাগুড়ের মিশ্রণে বিশেষ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। মসজিদটির আরও একটি অন্যতম বৈশিষ্ট হলো রড ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদের ছাদ।
মিয়া বাড়ির ১৩তম বংশধর মিজানুর রহমান বলেন, পারস্য থেকে মাহমুদ হায়াত, জাহিদ এসে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদ স্থাপনের পাশাপাশি দিঘিও খনন করেন তারা। ওনারা ওই এলাকায় শাসন করার পাশাপাশি ধর্ম প্রচার করেছেন বলেও জানান তিনি।