ভারতে আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে গুড়িয়ে দেওয়া হলো মসজিদ

ভারতে আদালতের স্থগিতাদেশ শেষ হতে না হতেই গুড়িয়ে দেওয়া হলো মসজিদ।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) উত্তর প্রদেশের কুশিনগর জেলায় এই ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কুশিনগরের কাটা এলাকার মাদানি মসজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলো যে, মসজিদটি সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিলো। এজন্য তারা প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীর নিকট অনলাইন পোর্টালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও দাখিল করে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের প্রশাসন তা গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মামলা করা হলে আদালত এর উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

বিচারকার্যে মসজিদ ও রাষ্ট্রপক্ষকে আদালত জমির মূল নথিপত্র ও নকশা দাখিল করার নির্দেশ দেয়। এর আগে জেলা কর্মকর্তাগণ একটি জরিপ পরিচালনা করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালতকে জানানো হয়, মসজিদের জমির একটি অংশ সরকারি। কিন্তু আদালতের নির্দেশে জমির রেকর্ড কর্মকর্তারা এর স্বপক্ষে সরকারি অংশ চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়।

অভিযোগের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় আদালত নির্দেশনা জারি করেছিলো যে, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মসজিদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না প্রশাসন। আর এরই মধ্যে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মূল নথিপত্র, নকশা ও রেকর্ড দাখিল করতে হবে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থগিতাদেশের শেষদিন পর্যন্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষ জমির মূল রেকর্ড দাখিল করতে না পারায় ও আদালতের নতুন কোনো নির্দেশনা আসার অপেক্ষা না করেই মসজিদটি গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদী প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। রাতেই বিশাল পরিমাণে যৌথ বাহিনী প্রেরণ করে। মসজিদ গুড়িয়ে দিতে পাঠায় ৬টি বুলডোজার।

গুড়িয়ে দেওয়া মাদানি মসজিদটি কুশিনগরের মুসলিমদের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো। ছিলো নিম্নবর্ণ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের নির্ভরতার স্থান। এতে ছিলো একটি শিক্ষা ও সহায়তা কেন্দ্র। মসজিদটি কুশিনগরের তাবলীগ জেলা মারকাজ হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

সূত্র: মুসলিম মিরর

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *