মালয়েশিয়ায় পৃথক অভিযানে ৮৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা ও অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দেশটির জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (২৪ জানিুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় রাজ্যের সেনাই এলাকার কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা ৩২৮ বিদেশির কাগজপত্র যাচাই করেন। এ সময় কর্মসংস্থানের অনুমতি নেই এমন ৮২ জনকে বিদেশি কর্মীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৪৭ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ৬৯ জন বাংলাদেশি, ৭ জন ভারতীয়, ৪ জন শ্রীলঙ্কার ও মিয়ানমারের ২ জন নাগরিক রয়েছে।
এদিকে, একইদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে সেনাইয়ের এলাকায় আরেকটি অভিযান চালায় দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানে এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা ১১০ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই করেন। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৪০ জন বিদেশিকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে, ইন্দোনেশিয়ার ১৯ জন, মিয়ানমারের ১১ জন, বাংলাদেশের ৬ জন, পাকিস্তানের ২ জন, নেপালের ১ ও ভারতের ১ জন রয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জন নারী রয়েছে।
অপরদিকে বুধবার দেশটির সেরেমবান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১০ বিদেশিকে আটক করে অভিবাসন বিভাগ। রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক কেনিথ তান আইক কিয়াং এ তথ্য জানান।
কেনিথ তান আইক কিয়াং বলেন, অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিবাসী শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। তারা মেয়াদ শেষের পরও অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান বা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন। এদের বেশীরভাগই ওই এলাকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণ স্থাপনায় কাজ করতেন। আটককৃতদের মধ্যে ৬৪ জনই মিয়ানমারের নাগরিক। এছাড়া, ইন্দোনেশিয়ার ১৩ জন, বাংলাদেশের ১০ জন, ভারতের ৬ জন, পাকিস্তানের ৯ জন, শ্রীলঙ্কার ৬ জন ও ২ জন নেপালের নাগরিক রয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জন নারী রয়েছে।