২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। বর্বর সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনতে দাবি জানিয়ে আসছিল শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার পতনের পর সেই আন্দোলন আরও জোড়ালো হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করবে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত শেখ হাসিনা, শেখ তাপস, শেখ পরশ ও জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সে সময়কার অপতথ্য দেয়া সাংবাদিকরা। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করবে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় এক স্বজন বলেন, শেখ হাসিনার স্পষ্ট মদদেই পিলখানায় ৫৭ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সরাসরি এর সাথে জড়িত। এ জন্য সরকারে থেকে গত ১৫ বছর এই ইস্যু আলোচনায় আসতে দেয়নি। বিচারও হয়নি।
আরেকজন বলেন, প্রহসনের জন্য কিংবা লোক দেখানোর জন্য নয়, আমরা প্রকৃত বিচার দাবি করছি। খুনি সরকার ক্ষমতায় নেই, আশা করছি ন্যায়বিচার হবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করবে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির আগেই দিনটিকে “শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও পরিবারের সদস্যদের।