নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে উন্মুখ হুতি গোষ্ঠি ও তাদের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইয়েমেনের রাজধানী সানায় জড়ো হয় প্রায় ৫ হাজার হুতি ও তাদের সমর্থক। নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড আর অস্ত্র উঁচিয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ করে তারা। খবর আল জাজিরার।
পশ্চিমাদের আগ্রাসনের প্রতিবাদ আর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় জড়ো হয় তারা। ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের প্রস্তুতির কথা জানায় গোষ্ঠিটি। শত্রু পক্ষের হামলা যতো জোরালোই হোক, তা শক্ত হাতে মোকাবেলার ঘোষণা দেয় তারা।
একজন হুতি বলেন, শত্রুদের মোকাবিলায় প্রস্তুত আমরা। স্থল-জল-আকাশ, সব পথে হামলা মোকাবেলা করা হবে। পৃথিবীর বুক থেকে শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির।
আরেক হুতি সদস্য বলেন, পশ্চিমা আর ইহুদিদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই– ইয়েমেন বা ফিলিস্তিন, কোনোটিই দখল করতে পারবে না তারা। লোহিত সাগরের পানিতে তাদের ডুবিয়ে মারা হবে। ইয়েমেনের ভূখন্ডে কবর খুঁড়ে রাখা আছে হানাদারদের জন্য। সেই কবরে স্বাগত জানাই তাদের।
এরইমধ্যে, মার্কিন ও ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মীদের আগামী এক মাসের মধ্যে ইয়েমেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে হুতি নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন। ইয়েমেন সংক্রান্ত কোনো কাজ বা পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিয়োগ না দিতেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে অভিযান চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। পাল্টা জবাবে দেশটির ভূখন্ডে গোষ্ঠিটির স্থাপনায় জোরালো হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। তারই জেরে এমন কঠোর অবস্থান গোষ্ঠিটির।
পশ্চিমাদের হামলায় পিছু না হটে আরও বেশি সংগঠিত হয়েছে হুতিরা। মার্কিন যুদ্ধ ও পণ্যবাহী জাহাজে মিসাইল ছুড়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছে।