দেশজুড়ে সংঘাতে নৌকা-ঈগল

১৮ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। চলবে আগামী ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে প্রচারণাকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা শুরু হয়েছে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। পক্ষে-বিপক্ষে ভোট চাওয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী অফিসে আগুন, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, সমর্থককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম (৫২) নামে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। পেশিশক্তির এসব লড়াই নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) গিয়াস উদ্দিনের কর্মীর ওপর নৌকার কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুর ১২টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের ঈগল প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাব্বির নেতৃত্বে ইউসুফ, রিয়াজ, রাকিব, ফারুকসহ আরও বেশ কয়েকজন অপুর (২২) ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত দীন মোহাম্মদ অপুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন প্রধানের নির্বাচনী সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, হামলার ঘটনা নতুন নয়।

কয়েকদিন আগেও থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে আমাদের কর্মী যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার ওপর হামলা করে হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়। নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার ভয়- ভীতিও দেখানো হচ্ছে। এ বিষয়ে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

 

এদিকে বরিশাল-৫ (সদর), পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) এবং পিরোজপুর-১ (সদর-ইন্দুরকানী-নাজিরপুর) আসনে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ২১ নির্বাচনি এলাকার ১১টিতেই নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এর মধ্যে সাতটিতে নৌকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা।

পটুয়াখালী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান। শুরু থেকেই নৌকার বিরুদ্ধে দলকে ব্যবহারের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। নৌকার প্রার্থী মুহিব্বুর রহমান এমপি এই অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার মাহবুবের ঈগল প্রতীকের পক্ষে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার উদ্দিন মোল্লা। নৌকায় ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।

বরিশাল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সালাহউদ্দিন রিপন। উঠোন বৈঠক-গণসংযোগে তিনিও নৌকার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন তুলছেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। বৃহস্পতিবার এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কেউ নৌকায় ভোট দেবেন না। নৌকা গত পাঁচ বছরে বরিশালে কোনো উন্নয়ন করেনি।’

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাফিজ মল্লিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কথা বলেছেন। তার মানে স্বতন্ত্ররা নৌকার বিরুদ্ধে অশালীন কথা বলবে বা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করবে-এমন নির্দেশনা তার নেই। এখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র মানে স্বতন্ত্র, তার তো কোনো দল থাকার কথা নয়, অথচ তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অফিস, দলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করছেন তার নির্বাচনি প্রচারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার এক প্রচার কর্মীর ওপর হামলা চালায় তার লোকজন। আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে তিনি কি করে নৌকার বিরুদ্ধে বলছেন?’

এদিকে রাজশাহী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে হাতুড়ি পেটা করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আহত ৩৯ বছর বয়সী নাজির হোসেন চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাদিপুর গ্রামের ওয়াজ শেখের ছেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে সরদহ বাজারে তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন নাজির হোসেন। রাত ৯টার পর সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ের সামনে তাকে থামানো হয়। পরে তাকে কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে হাতুড়ি, রড ও চেয়ার দিয়ে মারধর করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির ভাই উজির উদ্দিন বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেছেন।

অপরদিকে রাজশাহীর বাঘায় অস্থায়ী নৌকার নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ১ নম্বর দীঘা ওয়ার্ডে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। তবে কে বা কারা এ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে, তা কেউ বলতে পারেনি। এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়নের ১ নম্বর দীঘা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, ভোর ৪টার দিকে বাজার পাহারাদার মাসুদ আলী খবর দেয় কে বা কারা অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে।

নোয়াখালী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিনের বড় ভাই ও তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিনের বাড়ির সামনে ককটেল হামলা ও আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ভোর ৪টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তার অনুসারীরাই এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিনের ভাই বাহার উদ্দিনের। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার-৩ (সদর ও রাজনগর) সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে নৌকা সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলা জাতীয় পার্টির দু’জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের বড়হাট এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফুর রহমানের লাঙ্গল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে অতর্কিত এ হামলা চালায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহমুদুর রহমান মানবজমিনকে বলেছেন, হামলাকারীরা মারধরের সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে ওখানে নৌকার অফিস ছাড়া অন্য কোনো দল ও প্রার্থীর অফিস করা যাবে না। অন্যথায় ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হকের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল ভোরে উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মী শরীফুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর তিনি ও তার লোকজন অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। গতকাল ভোর ৫টায় খবর আসে নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

নওগাঁর পোরশায় নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোর রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে। পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল জানান, গভীর রাত পর্যন্ত ওই ক্যাম্পে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে উঠান বৈঠক শেষ করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বাড়িতে চলে যায়। এরপর ভোর রাতের দিকে কে বা কারা ক্যাম্পের জানালা দিয়ে আগুন লাগায়। এতে ক্যাম্পের পোস্টার, ব্যানার ও শামিয়ানা পুড়ে যায়। পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিয়ার রহমান জানান, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আজিফ জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের সমর্থকদের সঙ্গে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের সমর্থকরা নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে চা খাচ্ছিল। এ সময় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দীন জানান, এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর পক্ষে স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর গণসংযোগে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নদভীর শ্যালকসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ নদভীর স্ত্রীর। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সাতকানিয়া চরতী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরতীর কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য আতাউর রহমানের ওপর হামলা, গাড়ি ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় গণসংযোগ করতে গেলে তার ওপর হামলা করা হয়। আতাউর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হায়াত খান বলেন,  গণসংযোগে গেলে গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী পথ রোধ করে বাধা দেয়। এ সময় স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও তার সফর সঙ্গীদের ওপর হামলাসহ গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করা হয়। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। একাধিক মামলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়।

এদিকে ‘নৌকার বাইরে গিয়ে কেউ কোনো কথা বললে তার গলা নামিয়ে দেয়া হবে’- এমন হুমকি দেয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ (রাজৈর-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আগামী রোববার বেলা ১১টায় অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *