আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে। তাছাড়া, খুব শিগগিরই জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বিচার প্রক্রিয়ার ট্রায়াল টেলিভিশনে দেখানোর আইনগত দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এমনটা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো: আসাদুজ্জামান।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর এফডিসিতে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে দলীয় স্বৈরতন্ত্র অপেক্ষা প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রই বেশি দায়ী’ শীর্ষক আয়োজিত ছায়া সংসদে এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের যারা পালিয়ে গেছে তাদের ফিরিয়ে আনতে আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। বিচারের মুখোমুখি না হলে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নির্দিষ্ট সিভিলিয়ান গোষ্ঠির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ আইন ১৯৭৩ এর মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন যে তিনি যা বলেন সেটাই সত্য, সেটাই বেদবাক্য। তিনি মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। গত ১৫ বছরে দেশে কার্যত এক ব্যক্তির শাসন কায়েম হয়েছিল। জাতীয় সংসদও একক কর্তৃত্ববাদে পরিচালিত হয়েছে।
এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক অপরাধ করেছেন। এর সুবিধা নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালিয়ে নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যা বাংলাদেশে ইতিহাসে বড় কালো দাগ হয়ে থাকবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার প্রশাসনের বেশিরভাগ ব্যক্তিরাই এ হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। এ সময় জুলাই হত্যাকাণ্ডের দোসরদের শাস্তি প্রদান এবং জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি।
এই ছায়া সংসদে ঢাকা কলেজ ও ইষ্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশ নেন। এতে ইষ্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন, ড. এস এম মোর্শেদ, ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন, সাংবাদিক মো. সাইদুল ইসলাম ও কবি জাহানারা পারভিন।