স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকারের পতনের দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে এ অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেন দলের নেতাকর্মীরা।
‘গণতন্ত্র হত্যায় একতরফা প্রহসনের ভোটের প্রতিবাদে’ অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, বিএনপিসহ সবাইকে বলব, এবার আর ভুল করা যাবে না। ৮০ থেকে ৯০ ভাগ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানেই এ সরকারের পতন হবে।
নুর বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গণদাবি উপেক্ষা করে জনবিচ্ছিন্ন সরকার দেশে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েমে ভারতীয় মদদে এই একতরফা নির্বাচন করেছে। নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। সেখানেও কেন্দ্র দখল, জোর জবরদস্তি করে ব্যালটে সিল মারা, শিশুদের দিয়ে ভোটদান, গোলাগুলি, মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দেশের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষ ভোট বর্জন করে এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
নুর বলেন, সিইসি বিকাল ৩টার সময় একবার বললেন ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এর ১ ঘণ্টা পর বললেন ৪০ শতাংশ! প্রকৃত অর্থে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে কি-না সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, লোকজন ভোট না দিলেও এরা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখাবে। কাজেই ভোট কত পারসেন্ট পড়েছে, কারা ভোট দিয়েছে, কারা প্রার্থী হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার অবকাশ নাই।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে জনমতের বাইরে এই ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রীদের কথা শুনে লজ্জা লাগে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন- ভোটের মাধ্যমে নাকি তাদের বিজয় হয়েছে। তর্কের খাতিরে আপনাদের কথা যদি ধরেও নেই যে- ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, তাহলেও তো সংখ্যা গরিষ্ঠ ৬০ শতাংশ মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কিভাবে বলেন জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।