কলাপাড়ায় ছেলের মুক্তির দাবীতে অসহায় পিতার সংবাদ সম্মেলন

রাসেল মোল্লা, কলাপাড়া প্রতিনিধি: মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আটককৃত ছেলের মুক্তিসহ পুন:রায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূমিহীন অসহায় পিতা জাকির হাওলাদার। ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১২ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব হলরুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। ভূক্তভোগী জাকির হাওলাদার উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের একজন বাসিন্দা। ভিটে ভাড়ি না থাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন সরকারী খাস জমিতে তিনি বসবাস করতেন। স্থানীয় মাসুদ হাওলাদার তার সহযোগীদের নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সেই ঘড়-বাড়ি দখলের উদ্যেশে হামলা ও ভাঙ্গচুর করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ভিটে বাড়ি হারা হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এখন অসহায় জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ৫ আগষ্ট সরকার পটপরিবর্তনের পর ওই সন্ত্রাসী বাহিনী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তার মটরসাইকেল আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। যা স্থানীয় অনেকেই জানেন বলে তিনি দাবী করেন। এছাড়া, তার ছেলে কালাম কালুকে নাটকীয়ভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। অথচ ওই দেশীয় অস্ত্রটি রাস্তার পাশের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। তার ছেলে ওই সময় ঘটনাস্থলেই ছিলো না। তাকে ডেকে এনে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে তিনি জোর দাবী জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে ভূক্তভোগী জাকির হাওলাদার আরো বলেন, এই মাসুদ হাওলাদারের নামে গরু চুরিসহ একধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া, মিথ্যে ও সাজানো মামলায় মানুষকে হয়রানী করা তার নেশা ও পেশা। তিনি বিগত সরকারের আমলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনকেও একটি মিথ্যে মামলায় হয়রানী করেন বলে জানান।
ভূমিহীন অসহায় পিতা জাকির হাওলাদার তার পরিবারের অসহায়ত্ব ও ছেলের মুক্তিসহ ঘটনার পুন:রায় তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তার স্ত্রী রাহিমা বেগম, ছেলে আজাদ হাওলাদার এবং স্থানীয় বুলবুল বিশ্বাস ও নিজাম মৃধা উপস্থিত ছিলেন।

তবে, এবিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ হাওলাদার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসকল বিষয়ের সাথে তিনি জড়িত নন বলে সাংবাদিকদের জানান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *