জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের বিচার আগে করতে হবে। তারা বলতেন আইন সবার জন্য সমান। সেই সমান আইনে তাদের (আওয়ামী লীগ) বিচারের অধিকার আছে কি-না? তাদের তৈরি করা কালা-কানুনে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে যেন তাদের বঞ্চিত করা না হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে বার্ষিক সদস্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমীর বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সকল হত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ই আগস্টে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার আগে করতে হবে। শহীদের রক্ত এখনো তাজা, শহীদের পরিবার, স্বজনরা এখনো কাঁদছে। আহতরা এখনো কাতরাচ্ছে। আমাদের দাবি স্পষ্ট, বিচার হোক। এই বিচার করা খুবই সহজ। কারণ, সাক্ষীও জীবিত। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণহত্যায় জড়িতদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা অন্যায় ও জুলুম চাই না।
জামায়াত আমীর আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা ও গণতন্ত্রকে জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকে জবাই করা হয়েছে। ওই দিনটিতে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ-প্রতীক্ষার পর গত ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ তার আপন পথ ফিরে পেয়েছে। সেদিনকার ঘটনায় যার সবচেয়ে বেশি দায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ক্ষমতায় এসে তারা সেই মামলা শেষ করে দিয়েছিল। সেই মামলা আল্লাহ চাইলে মাটির নিচ থেকে উঠিয়ে আনা হবে, ইনশাআল্লাহ। কারণ, মজলুমের বিচার আল্লাহ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতের ওপরে ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। যা ছিল আরেকটি গণহত্যা। ঠিক কতোজনকে হত্যা করা হয়েছিল, তা আজও জানি না। এবার ৫ই আগস্টের ৪ দিন আগে জামায়াতে ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলা হল, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ২০১৩ সালের ৫ই মে রাতে যা ঘটেছিল, আমরা সে রাতে যেমন সাফ করে দিয়েছিলাম, সেরকম সাফ করে দেওয়া হবে। সে কথা কিন্তু মিডিয়ার সামনেই বলা হয়েছিল।