আবারও দিল্লিমুখী ভারতের সুবিধাবঞ্চিত কৃষকরা। ক্ষুব্ধ কৃষিজীবীরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন ডজন খানেক শর্ত। যার অন্যতম হলো শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নির্ধারণ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ট্রাক্টর, ট্রাক আর ভ্যান নিয়ে রওনা হয়েছেন হাজারও কৃষক। অনেকে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন রাজধানী অভিমুখে। আন্দোলকারীরা জানিয়েছে, কয়েক মাস অবস্থান ধর্মঘট চালানোর মতো খাদ্যের মজুদ রয়েছে তাদের। ভারতের দুই শতাধিক কৃষকসংগঠন আন্দোলনে শামিল হয়েছে। ক্ষুব্ধ কৃষকদের ঠেকাতে দিল্লির সাথে সংযুক্ত প্রত্যেকটি সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি, বসানো হয়েছে অতিরিক্ত ব্যারিকেড। তাতে দিল্লি-নয়ডা সংযোগ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের সাথে সমঝোতার উদ্দেশ্যে হয় একটি আলোচনা। কিন্তু সেটি ব্যর্থ হওয়ার পরই আসে আন্দোলনের ডাক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে একইরকম দাবি নিয়ে দিল্লি সীমান্তে ধর্মঘট করেন হাজারো কৃষক। ১৩ মাসের আন্দোলন শেষ হয় সরকারের মধ্যস্থতায়। কিন্তু কৃষক অধিকার আন্দোলনের নেতারা জানান, যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সরকার, সেগুলোর অর্ধেকও পূরণ হয়নি।