মন্ত্রী থাকা অবস্থায় এক টাকাও চুরি করেননি বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন তিনি।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বলেছেন, সুশীল ও সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ মহলের লোক দিয়ে কমিটি করা হোক। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি ওই কমিটি যদি আমার ১ টাকার দুর্নীতি পায়, তাহলে আমি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবো।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো কলাম নাই। তাই বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণ দেয়া হয় নাই। বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা আমি বিদেশে নিই নাই। বিদেশে আমার বাবার ব্যবসা ছিল, প্রায় ৫০ বছরের… এটা আমাদের পারিবারিক ব্যবসা।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ সময় উল্লেখ করেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি বাড়ি, গাড়ি কিছুই ব্যবহার করেননি। এমনকি ভাতাও নিজে খরচ না করে দান করেছেন। তিনি দেশকে দিতে এসেছেন, নিতে আসেননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে আরও অনেক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী হলফনামায় এ তথ্য দেননি। ওই সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি। এর পরেই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়, নাম প্রকাশ না করা সেই মন্ত্রী হচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।