দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ক্ষমতা পেয়েই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো শুরু করেছেন। তারই অংশ হিসেবে প্রথমেই এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আর সেই চাকরি ‘খেয়ে দেওয়ার’ দায়িত্ব দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে। যারা ইতোমধ্যে ট্রাম্প সরকারে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভমেন্ট ইফিশিয়েন্সি’ বা ‘ডোজ’ নামে নতুন এক বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।
নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের উদ্যোগকে ট্রাম্প ‘আমাদের আমলের ম্যানহাটন প্রজেক্ট’ বলে অভিহিত করছেন। যা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকারের পারমাণবিক বোমা তৈরির অত্যন্ত গোপনীয় প্রকল্পের নাম।
ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে নিয়ে অতি আশাবাদি ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “একসঙ্গে, এই দুই চমৎকার আমেরিকান আমার প্রশাসনের জন্য সরকারি আমলাতন্ত্রকে আরও কার্যকর করে তুলবেন। বাড়তি নীতিমালা কমিয়ে আনা, অহেতুক ব্যয় কমানো ও কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরগুলোর পুনর্গঠনের পথকে প্রশস্ত করবেন।”
ইলন মাস্ক ও বিবেকের নেতৃত্বে গঠিত ‘ডোজ’ বিভাগের মাধ্যমে ট্রাম্প আরও যেসব লক্ষ্য পূরণ করবেন তার মধ্যে আছে ‘বাড়তি নীতিমালা কমানো’। এ ধরনের কিছু নীতিমালার বেড়াজালে আটকে আছে টেসলা। একইসঙ্গে টেসলার বিরুদ্ধে কিছু সরকারি বিভাগের তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অবশ্য, গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক। যিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা তহবিলে বড় অঙ্কের অনুদান দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী ও বিনিয়োগকারী। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। পরে প্রাথমিক বাছাইয়ে হেরে গিয়ে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানান।
ট্রাম্পের এমন মারাত্মক উদ্যোগের পরিণতি নিয়ে বিশ্লেষকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।